বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ২০২৪, বিএনপির স্লোগান লিরিক্স, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্যাড, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তালিকা ২০২৪, বিএনপির স্লোগান সমূহ, বিএনপি স্ট্যাটাস, বিএনপির বর্তমান কমিটি, বিএনপির স্লোগান ২০২৪,

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রবাসীর মৃত্যুর জের ধরে ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন প্রবাসী নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধমূলক সহিংসতায় ১৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে, এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত টহল জোরদার করেছে।

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে দুটি বিএনপি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে স্পেনপ্রবাসী মো. সাইজুদ্দিন দেওয়ান (৪৫) নিহত হন। তিনি স্থানীয় কৃষক দলের সদস্যসচিব জি এম শামীমের সমর্থক ছিলেন। সংঘর্ষে আরও অন্তত ১৫ জন আহত হন। ওই দিন বিকেলে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মধ্যচরবংশী বেড়িবাঁধ, বাবুরহাট ও খাসেরহাট বাজারে সংঘর্ষটি দফায় দফায় ঘটে।

সাইজুদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের পর আজ দুপুরে চরবংশী গ্রামে আনা হয়েছে। তাঁর বাড়ি ছিল উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের চর ঘাসিয়া গ্রামে। সাইজুদ্দিন ঈদ উদযাপন করতে স্পেন থেকে দেশে এসেছিলেন এবং সংঘর্ষের সময় বংশী বেড়িবাঁধ এলাকায় গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সকাল ১০টা থেকে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু হয়। একপর্যায়ে চরবংশী গ্রামের এবাদুল্লা গাজী, রুহুল আমিন, আরিফ হোসেন, ফারুক গাজী, এবং তারেক হোসেনের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এছাড়া চর কুঁচিয়া গ্রামের গণি খাঁ, মনু সর্দার, শরীফ সর্দার, আনোয়ার হোসেন, জালাল আহমেদসহ আরও ১০ জনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ফারুক গাজী জানান, ১০-১৫ জন যুবক একযোগে তার বাড়িতে হামলা চালায়। ঘর ভাঙচুরের পর সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে, তিনি বাড়িতে ছিলেন না এবং তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুটি পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. ফারুক কবিরাজ এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন কৃষক দলের সদস্যসচিব জি এম শামীম। সংঘর্ষের পর সাইজুদ্দিনকে খাসেরহাট বাজারের কাছে মারধর করা হয় এবং আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে।

ফারুক কবিরাজ বলেন, “শামীমের সাথে আমাদের দ্বন্দ্ব ছিল, তবে সাইজুদ্দিন আমাদের লোকজনের হাতে মারা যাননি। তিনি শামীমের লোকদের আঘাতে নিহত হয়েছেন। বর্তমানে আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটাচ্ছেন শামীমের সমর্থকরা।”

এদিকে, জি এম শামীম দাবি করেছেন, “ফারুক কবিরাজের ভাই মেহেদী কবিরাজের নেতৃত্বে সাইজুদ্দিনকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা শোকাহত এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের লোকজন কিছু বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে, তবে আমরা এসব ঘটনায় জড়িত নই।”

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *