সরকারি আইনজীবী, আইনজীবী কত প্রকার, আইনজীবী হওয়ার যোগ্যতা, প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-২০২৪, আইনজীবী ক্যারিয়ার, সরকারি আইনজীবী নিয়োগ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বেতন, আইনজীবী ও উকিল মধ্যে পার্থক্য,

চট্টগ্রামে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: ভোট ছাড়াই ২১ পদে একচেটিয়া জয় বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির আসন্ন নির্বাচনে কোনো ধরনের ভোটগ্রহণ ছাড়াই বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে প্রার্থী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাঁদেরকে আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা।

আজ ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ায়নি, ফলে নির্বাচন না হয়ে সরাসরি ফল ঘোষণা করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা তারিক আহমেদ জানান, ২১টি পদে যাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যাচাই-বাছাইয়ে তাদের কাগজপত্র সঠিক পাওয়া গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাঁদের জয়ী ঘোষণা করা হবে শনিবার।

জানা গেছে, ২১টি পদের মধ্যে বিএনপি ঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা ১৪টি এবং জামায়াতপন্থীরা ৭টি পদ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।

বিএনপি ঘনিষ্ঠ বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন:

  • সভাপতি: আবদুস সাত্তার

  • সাধারণ সম্পাদক: হাসান আলী চৌধুরী

  • জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি: কাজী মো. সিরু

  • অর্থ সম্পাদক: আনোয়ার হোসেন

  • পাঠাগার সম্পাদক: তৌহিদুল ইসলাম

  • সাংস্কৃতিক সম্পাদক: আশরাফী বিনতে মোতালেব

  • ক্রীড়া সম্পাদক: মঞ্জুর হোসেন

  • সদস্য: আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান, সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।

জামায়াতপন্থী প্রার্থীরা যাঁরা নির্বাচিত হচ্ছেন:

  • সহসভাপতি: আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস

  • সহসম্পাদক: ফজলুল বারী

  • তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক: আবদুল জব্বার

  • সদস্য: শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম, মোহাম্মদ মোরশেদ।

নবনির্বাচিত সভাপতি আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করব এবং সমিতির কার্যক্রমে রাজনীতি ঢুকতে দেব না।”

অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলঘনিষ্ঠ আইনজীবীরা মনোনয়ন সংগ্রহে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। সভাপতি প্রার্থী আবদুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফখরুদ্দিন চৌধুরীসহ একাধিক প্রার্থী লিখিতভাবে জানিয়েছেন, পাঠাগারে ফরম নিতে গিয়ে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে কিছু বহিরাগতও উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ বিষয়টি মোকাবিলায় সহায়তা করেননি বলে দাবি তাঁদের।

আওয়ামী লীগপন্থী প্রার্থী আবদুর রশিদ বলেন, “চট্টগ্রাম বারের ইতিহাসে এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এটি ভবিষ্যতের জন্য এক ভয়ানক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

উল্লেখ্য, এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি এই নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পাঁচ সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। তখন দুই পন্থার আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একপক্ষ সেনা ও বিজিবি মোতায়েনের দাবি করলেও অপরপক্ষ মনোনয়ন বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিল। পরবর্তীতে ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি আবার শুরু হয়।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *